হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। সারাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়ার মূল কারণ আমদানি না হওয়া।দেশে আমদানি হওয়া পেঁয়াজের প্রায় ৯৫ শতাংশ ভারত থেকে আনা হয়। গত ৩০ এপ্রিলের পর দেশে আর পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। আমদানি না হলে ৭ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

 দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনা জেলার সদর, সুজানগর, বেড়া, কাশিনাথপুর উপজেলায়। এ ছাড়া নাটোর, কুষ্টিয়া ও রাজশাহী জেলায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। তবে এতে দেশের মোট চাহিদা পূরণ হয় না। দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এ ছাড়া মায়ানমার, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয় ।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়া শহরের রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কলোনি বাজার, খান্দার বাজার, বনানী বাজার, কালিতলা হাট, মাটিডালী বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে।

তারা আরও জানান, আড়তে পেঁয়াজ আসার পর তিন স্তর পর ভোক্তাদের হাতে পৌঁছায়। মঙ্গলবার আড়ৎ থেকে পাইকাররা কিনেছেন প্রতি কেজি ৫০-৫২ টাকা দরে, পাইকাররা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন ৫৫-৫৬ টাকা দরে এবং খুচরা ব্যাবসায়ীরা ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেছেন ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে।

বাজারে কথা হয় বেশ কয়েকজন সাধারণ ক্রেতার সঙ্গে। তারা প্রত্যকে ৫ থেকে ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনেছেন। এত পেঁয়াজ কেনার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, গত সপ্তাহে পেঁয়াজ কিনেছি ৫০ টাকা কেজি করে। আজ পেঁয়াজ কিনতে হলো ৬৫ টাকা কেজি করে। দোকানদার বলছেন, আগামী সপ্তাহে ১০০ টাকা কেজি দাম হতে পারে। তাই এক মাসের জন্য বেশি করে পেঁয়াজ কিনেছি।